একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদ্স্য জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছেন। বিএনপির সিদ্ধান্ত—তাঁরা সংসদে যাবেন না। কিন্তু দলের সেই সিদ্ধান্ত না মেনেই বিএনপির নেতা জাহিদুর রহমান শপথ নিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ পাঠ করান।
এর আগে জাহিদুর রহমান আজ সকালে শপথ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কক্ষে যান। সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) তারেক মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘জাহিদুর রহমানের শপথের বিষয়ে দল কিছুই জানে না। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে শপথ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কেবল জাহিদুর রহমানই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, জাহিদুর রহমান শপথ গ্রহণ করলে তাকে শোকজ করা হবে। পরবর্তী সময়ে তাকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ অন্যান্য কয়েকটি দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। এই জোট থেকে নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ গ্রহণ করেছেন। সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সুলতান মনসুরকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার ও মোকাব্বির খানকে শোকজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) তিন সাবেক এমপিকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান নির্বাচিত হন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগে একমাত্র জাহিদুর রহমানই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তিনি (ধানের শীষ) ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক। তিনি ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পান। এছাড়া, মহাজোটের প্রার্থী মো. ইয়াসিন আলী (নৌকা) ৩৮ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ২৭ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন।