গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রিয় খরচে আইনজীবি নিয়োগ করে বিচারের পথ সুগম করতে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এদেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ এই আইনের সুবিধা পাচ্ছে’।
আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) পিরোজপুরের জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস- ২০১৯ এর র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নীতি হচ্ছে দেশে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ এবং দেশটি পরিচালনার জন্য একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। এই সংবিধানের ১৯ এবং ২৭ নং অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, দেশের সবার আইনি অধিকার এবং বিচার প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সেই অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন করে সব মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছে আদালত, বিশ্বজিৎ হত্যার অপরাধে অপরাধীদের ফাঁসির নির্দেশ হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামীদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দিয়েছে আদালত। এই ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত যে, এদেশের বিচার ব্যবস্থা এখন স্বাধীন এবং হস্তক্ষেপমুক্ত। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রিয় খরচে আইনজীবি নিয়োগ করে বিচারের পথ সুগম করতে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এদেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ এই আইনের সুবিধা পাচ্ছে’।
আলোচনা সভার পূর্বে বিচারক, আইনজীবি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বঙ্গবন্ধু চত্তর থেকে শুরু হয়ে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা ও দায়রা জজসহ সকলে অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রী এরপর শহরতলীর ডুমরিতলা শ্রীগুরু আশ্রমে ভক্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন।
এ সময় পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্যান্যদের মধ্যে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আবু জাফর মো. নোমান, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. হাবিবুর রহমান মালেক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন, নারী শিশু আদালতের পিপি রাজ্জাক খান বাদশা, সরকারি কৌশলী শহিদুল আলম পান্না, লিগ্যাল এইড এর প্যানেল আইনজীবি কমল মুখার্জী এবং লিগ্যাল এইড থেকে সহায়তা পাওয়া বিচার প্রার্থী রোজিনা আক্তার বক্তৃতা করেন।