রাজধানীর লালবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় তিন সদস্যের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও চার নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নূর হোসেন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৩০), ইয়াসির আরাফাত (২৬) ও ওমর করিম (২৯)।
এদের মধ্যে ওমর করিম পলাতক। তিনি মিয়ানমারের আকিয়ার জেলার পাথরকিল্লাহ থানার পিফারাং গ্রামের মৃত আবুল বসরের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দু’জনের মধ্যে নূর হোসেন আকিয়াব জেলার আরাকান থানার দানেসপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ হোসাইনের এবং ইয়াসির আরাফাত একই জেলার মন্ডু থানার হাসুরাধা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর লালবাগ থানাধীন এতিমখানা রোড থেকে নূর হোসেন এবং ইয়াসিরকে গ্রেফতার করা হয় এবং ওমর করিমসহ চারজন পালিয়ে যান। ওই সময় নূর হোসেন ও ইয়াসিরের সঙ্গে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর পটাশিয়াম ক্লোরেড ও আর্সেনিক ডাই সালফাইড জাতীয় বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করে ডিবি।
ওই ঘটনার পরদিন ১ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় মামলা করে ওই টিমের এসআই এসএম রাইসুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তারা আরএসও, জিআরসি, এআরইউ এবং ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক ইসলামিক উগ্রপন্থী সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশে নাশকতা করার জন্য একত্রিত হয়।
২০১৫ সালের ৩ মার্চ ডিবির এসআই মো. আব্দুল কাদের মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
একই বছরের ১২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।