নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করা ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গেজেট প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৮ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কেবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, সংসদবিষয়ক সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানি সাহা ও পূরবী রানি শর্মা।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীসহ দেশের মানুষের আইন পাসের জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল, সে সময় সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আইনটাকে যুগপোযোগী করে পাস করা হবে। সে অনুযায়ী গত বছরের ৮ অক্টোবর আইনটা সংসদে পাস হওয়ার পর গেজেট হয়েছে। ওই আইনের মধ্যেই বলা ছিল সরকার গেজেট প্রকাশ করে আইনটাকে কার্যকর করবে।
তিনি বলেন, ছয় মাস হয়ে গেলেও সরকার গেজেট প্রকাশ করেনি। আমরা উকিল নোটিশ দিয়েছিলাম গেজেট প্রকাশ করে আইনটা কার্যকর করার জন্য। সেটা না হওয়ার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেছিলাম, আজ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
গত ১৬ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আইনজীবী সরওয়ার আহাদ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ এ রিট দায়ের করেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল এইচআরপিবির পক্ষে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ কার্যকর করতে সাত দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের আট সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।