শরিয়া আইন সংশোধন না করে পৈতৃক সম্পত্তিতে ছেলে মেয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো সামাজিক অনাচারের বিচার দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯’ এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইসলাম ধর্মে মেয়েদের অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় ভাইয়েরা মেয়েদের সম্পদ দিতে চায় না। এমনকি সম্পদশালী পরিবারেও মেয়েদের অংশটুকু ছাড়া এক বিন্দুও তাদের দেওয়া হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেয়েদের যে অধিকারটুকু সম্পদের সেখানেও অন্য কেউ এসে কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এর কোনো সুরাহা করা যায় কিনা তা দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, যদি কারো দুই মেয়ে হয় তাহলে আইনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। তাই মেয়ে বা ছেলে না লিখে সন্তান লিখে দিলে, সেখানে সন্তান ছেলেই হোক বা মেয়েই হোক তার অধিকারটুকু সে পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে সামাজিক অবক্ষয় যেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেজন্য আমরা আইনগত সহয়তা প্রদান করার পাশাপাশি লিগ্যাল এইড গঠন করি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আইনের সহয়তা প্রদান শুধু জেলা উপজেলা পর্যায়ে না, ইউনিয়ন পর্যায়েও যাতে সেবা পাওয়া যায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছি। বিজ্ঞ বিচারকগণদের সেখানে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এমনকি আমরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল যেকোনো নাগরিককে আইনগত সহয়তা প্রদান করে যাচ্ছি। আদালত থেকে মানুষ যাতে সঠিক বিচার পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এরই মধ্যে আমরা ভার্চুয়াল আদালত তৈরি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমস্ত আইনগুলো ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারে অনেকে আছে, কিন্তু কেন আছে তা জানে না। আমদের এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।