জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সম্পত্তি জব্দের নির্দেশের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের নথি আসার পর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। তার সঙ্গে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের নথি আগামী দুই মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খুরশিদ আলম খান জানান, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার জন্য দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন। আর জমি (সম্পত্তি) জব্দের নির্দেশে স্থিতিবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে, এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়নি। দুই মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের নথি চেয়ে আদালত বলেছে, নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।