হে মাননীয় মেয়র আপনার পালিত মশার ছোবলে আজ আমার ৫০ দিন বয়সী বাচ্চাটার মা বেচে থাকার জন্য আপনার এই শহরের একটি হাসপাতালে লড়াই করছে।
আমার বাচ্চাটা ফ্যালফ্যাল করে নির্বাক ভাষায় আমার সঙ্গে অভিমান করে যেন বলছে- ‘এই অভিশপ্ত শহরে কেন তুমি আমায় জন্ম দিয়ে এই কয়দিন বয়সে আমাকে কষ্ট দিচ্ছ বাবা? ৫০ দিন বয়সে আমাকে হাসপাতালে আমার অসহায় মায়ের সাথে কেন দিনাতিপাত করতে হচ্ছে বল বাবা? আমার চার বছর বয়সী ভাইটি যে কোন দিন মা বাবা ছাড়া একরাত থাকেনি আজ তাকে আলাদা একা থাকতে হচ্ছে। তোমার মেয়র, তোমার রাষ্ট্র আমার মাকে সামান্য মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে পারেনা তবে কেন আমাকে আনলে এই দূষিত শহরে?
তোমার মেয়র কি জানে আমার কষ্টটা কেমন হচ্ছে? কোনদিন কি সে মায়ের অসুস্থ রক্ত ছোপ ছোপ মায়ের গা ঘেষে শুয়ে থাকার যন্ত্রনা পেয়েছে বল বাবা? মায়ের ১০৫ মাত্রার জ্বরের তাপমাত্রার শরীরের সাথে ঘেষে পুড়ে পুড়ে আমাকেও বেচে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে। কেন বাবা আমাকে তুমি একটা নিরাপদ শহরে জন্ম দিলেনা? এই যে মশা নিধনে সামান্য কার্যকর পদক্ষেপ যে রাষ্ট্র নিতে পারেনা আমি অন্তত তাকে উন্নয়নশীল বলতে পারিনা।
আচ্ছা বাবা এই যে চারিদিকে ডেঙ্গুর মহামারী এর জন্য রাষ্ট্র কি জরুরী অবস্থা ঘোষনা করতে পারেনা! বাবা আমাকে একদিন তোমার মেয়রের সাথে দেখা করতে দিও। আমার আর আমার মায়ের সব কষ্টগুলো তার নগর ভবনে উন্নয়ন কর হিসেবে জমা দিয়ে আসব।’
(সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহ। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।)