জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি অভিযানকে ‘মোবাইল কোর্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এখতিয়ার নেই জানিয়ে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর এই অনুরোধ করেছেন বলে এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, “জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার এখতিয়ার নেই। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যকলাপ রোধের নিমিত্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৭০(১) ধারা অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে জরিমানা আরোপ করতে পারেন, যা পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।”
অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযানকে গণমাধ্যমে ‘মোবাইল কোর্ট’ লেখা হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি চিঠি লেখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।
“সে প্রেক্ষিতে জনমনে বিদ্যমান ভুল ধারণা দূরীকরণের লক্ষ্যে পরবর্তী সময়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং গণমাধ্যমসমূহকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুরোধ জানিয়েছে।”
উল্লেখ্য, এবার রোজার সময় র্যাব, সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পাশাপাশি আলোচিত ছিল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। তাদের অভিযানে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।