বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৩ খাতের দুর্নীতি চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি বন্ধে ১৫টি সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে রেল ভবনে দুদকের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান রেলওয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেন।
দুদকের প্রতিবেদনে রেলের প্রধান দুর্নীতির খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভূমি অধিগ্রহণ, রেলের যন্ত্রপাতি ক্রয়, যন্ত্রপাতি স্থাপন, লাইন নির্মাণে দুর্নীতি, যন্ত্রাংশের যথাযথ ব্যবহার না হওয়া ও আমদানিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি, রেলের স্লিপার কারখানা অকার্যকর রেখে আর্থিক ক্ষতি ও এসবে তদারকির অভাবের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া রেলের জায়গায় প্রভাবশালীদের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্টরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ১৫টি সুপারিশের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতায় পরামর্শক নিয়োগ প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত করা ও একচেটিয়া ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা, কারখানাতে কোচ নির্মাণের সক্ষমতা সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া সম্পদের ডাটাবেজ তৈরি করে পুরাতন ও অব্যবহারযোগ্য মালামাল বিক্রি করা ও যেকোনও আমাদানিতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
একইসঙ্গে বেহাত হওয়া সম্পত্তি রেলের অধীনে নিয়ে আসতে দক্ষ আইনজীবী প্যানেল করার পরামর্শ এবং সমন্বয় কমিটি গঠন করে তা তদারকি করার কথা বলা হয়।