বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড প্রভাবের উদাহারণ টেনে হাইকোর্ট বলেছেন, নয়ন বন্ডরা একদিনে তৈরি হয়নি, তাদের নেপথ্যে কেউ না কেউ আছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, নয়ন বন্ডরা একদিনে তৈরি হয়নি, তাদের নেপথ্যে কেউ না কেউ আছে। এই মামলার আসামি গ্রেফতার ও সার্বিক কার্যক্রম আমরা তদারকিতে রাখবো।
বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। সে বিষয়টি তুলে ধরে আদালত আরও বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা পছন্দ করি না।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেন বরগুনার ডিসি ও এসপি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
রিফাতের বাবা আব্দুল আলিম দুলাল শরীফ মোট ১২ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (২৩), ৪ নম্বর আসামি চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্ততে সন্দেহভাজন মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।