রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামে ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭)। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ এই তথ্য জানান।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, শিশুটির শরীরে ক্ষত চিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত ভবনটির নবম তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়তো সায়মা।
এ ঘটনায় সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় ভবন মালিকসহ পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।