ব্যাংক পরিচালনায় সৎ লোক নিয়োগ নিশ্চিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ সময় আদালত বলেন, গ্রামের কৃষকদের বিরুদ্ধে সামান্য ঋণের জন্য মামলা হচ্ছে। বড় বড় ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার? বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।
আপিল বিভাগ বলেন, সরকার তো দেশ চালাচ্ছে, কিন্তু দেশটা তো জনগণের। আর যেন কোনো বেসিক ব্যাংক-ফারমার্স ব্যাংক তৈরি না হয়- এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
ঋণ খেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানিতে আজ সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে ঋণের ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে ঋণ খেলাপি ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নীতিমালা করে জারি করা সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্ট স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের দেয়া সেই আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে, ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে, হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফ বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবি রিট করেছিল। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ ঋণ খেলাপিদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
সে সঙ্গে ঋণখেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তবে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা এ সময়ে নতুন করে ঋণ নিতে পারবে না।