যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া স্থায়ী জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার জামিনে মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আপীল আবেদন খারিজ করে আজ সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আতাউল গণি।
এর আগে গত ১৯ জুন রানার জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে তাকে স্থায়ী জামিন দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের আবেদন জানায়।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভূক্ত করে।
এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরন মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করে এমপি আমানুর রহমান খান রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।