বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের (পরকীয়ার) সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার সংশোধন ও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।
তাছাড়া দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুসারে, স্বামী যদি কোনও বিধবা বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে সম্পর্ক করেন তা আইনে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তাই ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক। এজন্য রিটটি করেছেন ওই আইনজীবী।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়।