ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পড়ার উপযোগী করে লেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসকের নাম, ঠিকানা ও পদবী স্পষ্ট করে লেখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৩ সালে ধর্ষণের পর এক শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসমির করা আপিলের রায় ঘোষণার সময় আজ সোমবার (৮ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসান শহীদ কামরুজ্জামান।
পরে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এক শিশু হত্যার ঘটনায় রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসকের নাম এবং প্রতিবেদনের লেখা স্পষ্ট ছিল না। আদালতের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই যে সব চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন তাদের নাম ঠিকানা (পোস্ট, পদবী) এবং ওই প্রতিবেদন যেন পাঠের উপযোগী হয় বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১ জুলাই ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে চাচাতো ভাই কাদের। এ ঘটনায় ৫ জুলাই ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। পরে একই বছরের ৩১ আগস্ট আসামি কাদেরের (১৯) বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।
২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যশোরের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুর মোহাম্মদ মোড়ল আসামি কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামির করা আপিল আবেদন আজ খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।