স্কুলের শিক্ষার্থীদের কেউ হয়রানি (ইভটিজিং) করলে সেই তথ্য অভিযোগ আকারে জমা দিতে সব স্কুলে অভিযোগ বক্স স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)। অন্যদিকে অরিত্রির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আদালত বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীরা কম বয়সী হওয়ায় লজ্জায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছে অনেক সময় অভিযোগ দিতে চায় না। তাই দেশের সব স্কুলে ইভটিজিং রোধে অভিযোগ নিতে বক্স স্থাপনের পরামর্শ দেন হাইকোর্ট। তবে এ অভিযোগ বক্স খোলার দায়িত্ব স্কুল (ম্যানেজিং) কমিটির। এ অভিযোগ কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধেও থাকতে পারে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘এই অভিযোগ বক্সের বিষয়টি প্রচার করতে হবে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয়কে এই মামলায় বিবাদী করা যায় কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। একইসঙ্গে বুলিং (নির্যাতন) প্রতিরোধে যে কমিটি থাকবে সে কমিটির প্রধান যদি স্কুল প্রধান হন এবং তার বিরুদ্ধেই যদি নির্যাতনের অভিযোগ আসে, তাহলে কমিটি তদন্ত করবে কীভাবে? সেজন্য জেলা প্রশাসন পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তাকে ওই কমিটিতে যুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিন।’
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ করা নীতিমালার খসড়া উপস্থাপন করার পর আদালত এ পরামর্শ দেন। এরপর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুলিং নিরোধ কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার খবর প্রকাশের পর তা সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীর নজরে আনা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।