যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যান চাপায় ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিহত কিবরিয়ার বাবার পক্ষে আইনজীবী মো. ফাইজুল্লাহ এই রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
রিটে যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যান চাপায় ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের আইজি, পুলিশ কমিশনার (বরিশাল) ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।
কাভার্ডভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দুই পায়ের চারটি স্থান ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরদিন সকালে আইসিইউতে মারা যান গোলাম কিবরিয়া।