রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীরা প্রথমবারের মতো ঘুমানোর জন্য বালিশ পেয়েছেন। কারাবন্দীরা সবাই একটি করে তুলার বালিশ পেয়েছেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বুধবার (২৪ জুলাই) কারাগারে বন্দীদের মাঝে বালিশ বিতরণ করেন।
কারাগার সূত্র জানায়, এত দিন কারাগারের বন্দীরা কেবল তিনটি করে কম্বল পেতেন। এরই একটিকে বন্দীরা বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতেন। গত বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে বালিশ দেওয়া শুরু হয়। সে ধারাবাহিকতায় বুধবার রাজশাহী কারাগারের বন্দীদের মাঝে বালিশ বিতরণ করা হয়। এ সময় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ হাবীবুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, গত সপ্তাহে বালিশগুলো ঢাকা থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এসেছে। কারাগারের দরজি কয়েদিরা সেগুলোকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলেন। এরপর বুধবার সকালে ১ হাজার ৯৬৩ জন হাজতি ও ৮০৩ জন কয়েদিকে বালিশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৬ জুন দেশের অন্যান্য কারাগারের মতো রাজশাহী কারাগারেও বন্দীদের সকালের নাশতায় পরিবর্তন আনা হয়। বন্দীরা এখন সকালের নাশতায় সপ্তাহে চার দিন সবজি ও রুটি, দুই দিন খিচুড়ি এবং এক দিন হালুয়া-রুটি পাচ্ছেন।