জমিজমা নিয়ে বিরোধে আদালতের নির্ধারণকৃত উকিল কমিশন সরেজমিন তদন্তে গেলে অবরুদ্ধ করে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিচারক নিজেই মামলা করেছেন।
গত ১৫ জুলাই ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা (নং-২৪৩/১৯) করেন। তবে আইনি প্রক্রিয়ার কারণে সম্প্রতি ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের মোকাররমপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান গং জমি-সংক্রান্ত বিরোধে নবগ্রাম এলাকার জহুরুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই জমিতে সরেজমিন প্রতিবেদনের জন্য বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর উকিল কমিশন নিয়োগ করেন। আদালতের নির্দেশে উকিল কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন ফরাজী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএম বদরুল মিল্লাত খোকনকে সঙ্গে নিয়ে গত ২ মে সরেজমিন পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় বিবাদী জহুরুল হকের ছেলে মো. জিয়াউল ইসলাম ওরফে উজ্জল হাওলাদার নবগ্রাম ব্রিজের ওপরে তাদের পথরোধ করে। আইনজীবীদের পরিচয় জেনেও তাদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে জিম্মি করে রাখে। তাৎক্ষণিক আইনজীবীরা থানা পুলিশকে অবহিত করলে নবগ্রাম ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২, ৩৫৩, ১৮৯ ধারায় অপরাধ করেছে বলে ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে মো. জিয়াউল ইসলাম ওরফে উজ্জল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এছাড়াও মো. জিয়াউল ইসলাম ওরফে উজ্জল হাওলাদারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত এসএম নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন। বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়ায় জিয়াউল ইসলাম ওরফে উজ্জল হাওলাদারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি (জিডি নং-১০৭২, তারিখ-২২-০৫-১৯) করেন তিনি। এমনকি উজ্জলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে একাধিক অভিযোগ দেন এলাকার লোকজন।