স্বল্পব্যয়ে কম সময়ে নাগরিকদের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে ১৪ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন অ্যান্ড আরবিট্রেশন সেন্টার (বিমাক)।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) মিলনায়তনে ‘সীমিত সময়ে স্বল্প ব্যয়ে বাংলাদেশে বিচার পাওয়ার উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
কম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে সুপারিশগুলো হলো-
- কোড অব সিভিল প্রসিডিউর পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন
- জেলা ও দায়রা জজের মনিটরিং সময় বাড়ানো ও ধরন পরিবর্তন
- ডিজিটাল সাক্ষীর ব্যবস্থা প্রবর্তন করা
- আদালত ডিজিটালাইজড করা
- কোর্ট কানেকটেড এডিআর ব্যবস্থা প্রবর্তন করা (আদালতের সাহায্য নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আপস-মীমাংসা ও নিষ্পত্তি)
- নন কোর্ট কানেকটেড এডিআর ব্যবস্থা প্রবর্তন (আদালতের বাইরে আদালতের সাহায্য নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আপস-মীমাংসা ও নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা)
- এডিআর অ্যাক্ট (আইন) প্রণয়ন
- পেশা হিসেবে মেডিয়েশন/আরবিট্রেশনকে স্বীকৃতি প্রদান
- এডিআর জজ হিসেবে পদায়ন
- লোকবল বৃদ্ধি
- সাব রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসের ডাটাবেজে আদালতের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা
- আদালতের নিজস্ব পুলিশি ব্যবস্থা থাকা
- তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতের অধীনে ন্যস্ত করা
- ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকরণ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রামের জেলা জজ মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।
বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুল আলম, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান, অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির শিকদার, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, অ্যাডভোকেট মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারহানা আফরোজ, অ্যাডভোকেট সাধন কুমার বনিক। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ড. রাজীব কুমার গোস্বামী।