সম্পত্তির লোভে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা ৭০ বছরের গুরুতর অসুস্থ মা ছায়াতুন্নেছাকে বোনের কাছ থেকে উদ্ধারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর সহকারী (ক্লার্ক) হিসেবে কাজ করেন।
আজ রোববার (২৮ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বৃদ্ধা মায়ের একমাত্র ছেলে মো. জাহিদ রহমান রুবেলের পক্ষে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে ছায়াতুন্নেছাকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে তালাবদ্ধ (১৫ জুলাই থেকে) অবস্থা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পলিশ কমিশনার, নাজনীন বেগম রুচিসহ সাত জনকে।
রিটে বলা হয়েছে, ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছায়াতুন্নেছাকে তেজগাঁও এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ীর মাতৃছায়া অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে গত রমজান মাস থেকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রেখেছেন মেয়ে নাজনীন বেগম রুচি (৪০)। সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার পরও রাজি না হওয়ায় রুচি তার মাকে নির্যাতন করছেন। বৃদ্ধার মেয়ে রুচি গুলশানের একটি স্কুলে চাকরি করেন। প্রতিদিন সকাল সাতটায় গুলশান যাওয়ার আগে তিনি তার মাকে নির্জন কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে যান। তিনি বাসায় ফেরেন সন্ধ্যা সাতটায়।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়,গত রমজানে ছায়াতুন্নেছার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। তাদের (রুবেল ও রুচি) পিতা লুৎফর রহমান ২০০৭ সালের ১২ জুলাই মারা যান। গত ৯ জুলাই রিট আবেদনকারী জাহিদ রহমান রুবেল মাকে দেখতে গেলে মাস্তান দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন নাজনীন বেগম রুচি। এ ঘটনায় তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর গত ১৫ জুলাই পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ চার জনের বরাবর আবেদন করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে রুবেল এই রিট দায়ের করেন।