দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টদের ছাড়া কেউ জনস্বার্থে রিট করতে পারবেন না। এখন থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিতে হলে পরিবারের সদস্যদের মামলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
গত (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর-কনে ও শিশুসহ ১১ জন নিহত এবং তিনজন আহতের ঘটনায় করা রিটের শুনানিতে রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
এরপর প্রত্যেক রেল ক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রেল সচিব, রেল মহাপরিচালক, এলজিআরডি সচিব এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানিতে এ মন্তব্য করার পর রুল জারির আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
গত ১৭ জুলাই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ ১১ জন নিহত হওয়ায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট করেন।
রিটে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো লেভেল ক্রসিং স্থাপন থেকে বিরত থাকা, সারা দেশের অবৈধ রেল ক্রসিং বন্ধ, সব রেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ গেটম্যান নিয়োগ এবং ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট আবেদনে বলা হয়েছে।