কয়েক দফা নির্দেশনাসহ ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানি শেষে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশতাক আহমেদ চৌধুরী।
হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনাগুলো হচ্ছে –
- যেকোনো গাড়ি অবশ্যই জনস্বার্থে রিকুইজিশন করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
- রিকুইজিশন করা গাড়ি কোনো কর্মকর্তা তাঁর ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না, করলে অসদাচরণ হিসেবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- রিকুইজিশন করা গাড়ির ব্যাপারে প্রতিটি পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
- রিকুইজিশনের ব্যাপারে যেকোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
- রিকুইজিশন করা গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
- গাড়ির পেট্রল খরচ ও চালকের খাবার খরচ দিতে হবে।
- ছয় মাসের মধ্যে একই গাড়ি দ্বিতীয়বার রিকুইজিশন করা যাবে না।
- নারী, শিশু ও রোগী বহনকারী গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না।
- এসব নির্দেশনা সার্কুলার আকারে ইস্যু করে সব পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠাতে ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতে পুলিশ কমিশনারদের বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর পুলিশ অরডিন্যান্সের ১০৩ (ক) ধারায় পুলিশের গাড়ির রিকুইজিশনের বিধান চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১০ সালে রিটটি করে। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৩ মে হাইকোর্ট রুল দেন। এ রুলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।