পাঁচ লাখ টাকাসহ ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাম আসার পরও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামকে আসামি না করায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) নাজিম উদ্দিন আজাদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় এক আসামির জামিনের বিষয়ে শুনানিতে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আগামী ২২ আগস্ট তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার্দী।
আদালত তার আদেশে বলেন, তিন/চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ মামলার আসামি ওসি কামরুল ইসলামের নাম এসেছে। কিন্তু তাকে আসামি হিসেবে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না করে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
এরপর হাইকোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি ওসিকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ সরওয়ার্দীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নির্দেশেই তারা টাকা ও ইয়াবা রেখেছেন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসিকে মামলার আসামি থেকে বাদ দেন।