নড়াইলের কালিয়ায় একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ।
লিখিতভাবে হাইকোর্টকে দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘উভয়পক্ষের শুনানি ও নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়া হয়। এই আদেশটি সঠিকভাবে প্রচারিত হয়নি এবং তা আইনসংগতও নয় এবং আইনিনীতির সুস্পষ্ট লংঘন মর্মে হাইকোর্ট বিভাগ সদয় হয়ে আদেশ দিয়েছেন। ওই ভুলের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী। ভবিষ্যতে এরূপ ভুল না করার জন্য সতর্ক থাকবো।’
এরপর ওই মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এই রুল জারি করেন। পাশাপাশি আগামী ২০ আগস্ট রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে বিচারকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রবিউল আলম বুদু। মামলার বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল আলীম।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এনামুল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা কালিয়া থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মাঝার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর বিচারিক আদালতের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদা।
এ আবেদনে গত ৭ জুলাই এক আদেশে মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামকে আত্মসমর্পেণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না সে বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান।
এই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আসামি নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণের করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে জামিন দেন। মঙ্গলবার বিচারকের ব্যাখ্যা শুনে আদালত ওই আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।