সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একসঙ্গে ডিভিশন দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি গত বছরের ২১ অক্টোবর একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে ব্যারিস্টার মইনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে মানহানির এ মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি।