ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে দাওয়াতে ঈমানি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন গণমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সোমবার আদেশ দেবেন বলে জানান। এরপর সোমবার আদেশ না দিয়ে মঙ্গলবার আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ইসলাম ধর্মের পথপ্রদর্শক হজরত মুহম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী আসামির কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির ওই দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটিও ইসলামের কোথাও নেই।
তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে। ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু কিছু ইউটিউবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলেও উল্লেখ করেন।
আসামি তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদআত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ, গান করেন। ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন।