ভারতের ছত্তিশগড়ের একটি আন্তঃ-ধর্ম বিবাহের (Inter-caste marriage) মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। জানা গেছে, সেখানে (Chattisgarh) এক হিন্দু নারী তাঁর মুসলিম প্রেমিককে সম্প্রতি বিয়ে করেন, পরে ওই বিয়েতে স্ত্রীর পরিবারের সম্মতি পাওয়ার জন্যে হিন্দু ধর্মে নিজেকে ধর্মান্তরিত করেন পুরুষটি। এদিকে ওই নারীর পরিবার ধর্মান্তকরণের এই ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলেন এই গোটা বিষয়টিই আসলে পুরুষটির ভালবাসার ভান, আসলে এইভাবে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করা অত্যন্ত লজ্জার।
বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “আমরা কেবল দম্পতির ভবিষ্যত নিয়েই উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তঃধর্মীয় বা আন্ত-বর্ণ বিবাহের বিরোধী নই। বরং আদালত চায় তথাকথিত উচ্চ বর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যেও বিবাহ হোক।”
এ বিষয়ে আদালতের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, ওই ব্যক্তির “অনুগত স্বামী” এবং “মহান প্রেমিক” হওয়া উচিত।
আসলে প্রথম থেকেই হিন্দু-মুসলিম এই বিয়ের বিরোধী ছিল নারীর পরিবার। ওই নারীর বাবা অভিযোগ করেন যে এটা আসলে তাঁর মেয়েকে ফাঁদে ফেলার একটা চাল। যদিও শীর্ষ আদালত মেয়েটির বাবার ওই দাবি খারিজ করে তাঁকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলেছে এবং নবদম্পতিকে অর্থাৎ তাঁর মেয়ে-জামাইকে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যে শুভকামনা দিতে বলেছে।
আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ের পরে ওই মুসলিম ব্যক্তি নিজের নাম পরিবর্তন করেন। এক্ষেত্রে নিজের নাম পরিবর্তনের জন্য যথাযথ আইনী পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়েও আদালত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটির শীর্ষ আদালত বলেন ধর্মান্তকরণ নয়, ভালবাসাই আসল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্ট আন্তঃবিশ্বাস ও আন্তঃজাতির বিবাহের বিরুদ্ধে নয়। “আমরা কেবল চাই মেয়েটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকা উচিত”, জানায় শীর্ষ আদালত।
যদিও ওই মহিলার বাবার মতে মহিলার কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।