নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিসহ দুইজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে ওই দুইজনকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
দুইজন হলেন- ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার মরিচবুনিয়া এলাকার মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. মজিবর রহমান ও তার তদবিরকারক সোহাগ।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন হেনা নাজমুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও শাহীন আহমেদ খান।
পরে ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, মরিচবুনিয়া এলাকার এক বাড়ি থেকে ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর দিনগত রাতে এক গৃহবধূকে অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মজিবরসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল দেওয়া রায়ের সময় মজিবর পলাতক ছিলেন। তাকে ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই সাজা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মজিবর। হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের তথ্য গোপন করে আবারো সাজা বাতিল চেয়ে চলতি বছরে আবেদন করেন মজিবর।
১ আগস্ট বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। এই আদেশের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান মজিবর।
পরে দেখা যায়, জামিন আদেশে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতির নাম ঠিক থাকলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের নামের জায়গায় বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নাম উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি গোচরে আসার পর বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকাভুক্ত হয় মামলাটি। পরে এ মামলার আইনজীবী হেনা নাজমুন নাহারকে আসামি মজিবর ও মামলার তদবিরকারক সোহাগকে হাজির করতে নির্দেশ দেন আদালত। এই আদেশে বুধবার দুইজনকে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
-সূত্র, বাংলা নিউজ