কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ভোক্তার থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৮ টাকা বেশি রাখায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে এক হোটেল কর্তৃপক্ষকে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই জরিমানা আদায় করেন।
বেশি দাম রাখায় অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ ওই হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। আইন অনুযায়ী আদায় করা টাকার ২৫ শতাংশ বা ৫ হাজার টাকা পাবেন তিনি।
অভিযোগকারী ফিরোজ আহমেদ বলেন, চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে ইন হোটেলে দুটি স্যান্ডউইচ ও ২৫০ মিলির দুটি কোমল পানীয় কেনেন। কোমল পানীয়র নির্ধারিত দাম ১৬ টাকা হলেও তাঁর কাছ থেকে প্রতিটির জন্য ২০ টাকা করে রাখা হয়। দুটি কোমল পানীয়র জন্য ৮ টাকা বেশি রাখার ঘটনায় প্রতিবাদ করেন তিনি। এ সময় হোটেলের কর্মচারীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে মুঠোফোনে রসিদের ছবি তুলে রাখেন তিনি। পরে তিনি গত ৩০ মে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন। দুই দফা শুনানি শেষে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯–এর ৪০ ধারায় হোটেলটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘হোটেলটি ভোক্তার থেকে ৮ টাকা বেশি রেখেছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এখন তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।’