লালমনিরহাটে বাল্য বিয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্য বর ও তার মাসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৯ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরমধ্যে বর পক্ষকে ২ লাখ ২০ হাজার ও কনে পক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই আদেশ দেন।
লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মৃগেন্দ্রনাথ সরকার জানান, আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চওড়াটারি এলাকার পুলিশ সদস্য সুজন দুলালের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল (বর) মুন্না বাবু সিয়ামকে (২৫) ১ লাখ ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে (৪৫) ৫০ হাজার টাকা, সারপুকুর এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে মোবারক হোসেনকে (৪৩), একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে জোনাব আলী (৪৮), একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি জামুরটারি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৫৫), দলিদার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৮), একই এলাকার আদিতমারী এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৩০), মৃত. আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮) ও আসাদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মোসলেম উদ্দিনসহ (৫৫) প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা। এছাড়াও কনের বাবা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে শেখ কামালকে (৪৯) ও তার স্ত্রী লাইজু বেগমকে (৪০) ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম জানান, পুলিশ সদস্য সিয়াম মুন্নার সঙ্গে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি সেতু বাজার এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কনের বাড়িতে গিয়ে বরযাত্রীর গাড়ি আটক করেন ইউএনও জয়শ্রী রানী রায়। ঘটনা বুঝতে পেয়ে বর ও কনের গাড়ি পালিয়ে গেলেও তিনি বর যাত্রীর ২২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ইউএনওর নির্দেশে ১৭ শিশুকে ছেড়ে দিয়ে ৭ জনকে আটকে রাখা হয়। পরে বর ও তার মাকে ধরে আনার পর মোট ৯ জনের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।