লিগ্যাল এইড সার্ভিস সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘লিগ্যাল এইড সার্ভিসের নানা কার্যক্রম গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছে দিতে হবে। বিনা খরচে এই আইনি সেবা অধিকাংশ মানুষ জানে না। এ কারণে অনেকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। তাই এই আইনি সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
আজ রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে শহরের একটি তারকা মানের আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন (এন.এল.এ.এস.ও) এবং কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির (ডিএলএসি) যৌথ আয়োজনে সাংবাদিকদের কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের সব নাগরিকের আইনি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। এ অধিকার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনা খরচে জনগণকে যথাযথ আইনি সহায়তা দিচ্ছে সরকার। কেবল আদালতে গেলেই সমাধান নয়। গ্রামেগঞ্জেও জটিল সমস্যার সমাধান করা যায়। সেজন্য সবাইকে আন্তরিক হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘শুধু আদালত নয়, সমস্যা সমাধানের জন্য সবার সদিচ্ছা থাকা দরকার। সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে অনেক সমস্যা কেটে যাবে। যে যার অবস্থানে দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে।’
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা-ইউএনডিপির কমিউনিটি রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত কর্মশালায় কক্সবাজার সদর ও রামুর প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক এতে অংশ গ্রহণ করে।
ইউএনডিপির প্রকল্প কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ কাজী ইয়াসিন হাবিবের উপস্থাপনায় ডকুমেন্টারিতে জানানো হয়, দুর্বল, অসহায়, নিপীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০০ সালে সরকার লিগ্যাল এইড সেবা চালু করেছে। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যাতে মামলার আগেই সমাধান করা যায়। নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে আইনি সেবাকে তৃণমূলে পৌঁছাতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। লিগ্যাল এইডের সেবা প্রাপ্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতি হলে ১৬৪৩০ নাম্বারে অভিযোগ করা যাবে।
কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন -আইন মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগের উপ সচিব এস. মোহাম্মদ আলী, ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন (এন.এল.এ.এস.ও) প্রকল্পের উপ-পরিচালক (যুগ্ম জেলা জজ) আবিদা সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদ করিম।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি বর্তমানে ৪টি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নে কাজ করছে। আগে ইউনিয়ন কমিটিগুলোর কার্যক্রম শূন্য হলেও গত জুন মাস থেকে ইউনিয়ন কমিটিগুলোর কার্যক্রম বেশ সক্রিয়। তবে, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কিছু প্রতিবন্ধকতারও সম্মুখীন।