রাজধানীতে পুলিশ এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই নিয়ে মঙ্গলবার আন্দোলনে বসেছিলেন পুলিশকর্মীরা। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আইনজীবীরা। আন্দোলনকারী পুলিশ অফিসারদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
খোদ উর্দিধারীরা আন্দোলনে বসেছে এই রকম বিরল দৃশ্যর সাক্ষী থাকে দিল্লি৷ এই ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে দিল্লি প্রশাসন। দিল্লির পুলিশ প্রধানকে এক আইনজীবীর তরফ থেকে নোটিস দেওয়া হয়। এছাড়াও দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করা হয়। আন্দোলনকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে জানানো হয়। আইনজীবীদের তরফ থেকে রোহিণী, সাকেত বা পাতিয়ালা আদালতের গেট খুলতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, শনিবারে গাড়ি পার্ক করা নিয়ে তুলকালাম হয়ে ওঠে দিল্লির তিসহাজারি কোর্ট চত্বর। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করা হয়। জানানো হয় আইনজীবীদের আটকানোর জন্য গুলি করেন এক পুলিশকর্মী। তাতে একজন আহত হন। আহত আইনজীবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পরদিন আদালত দুই উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বদলি করেন। এছাড়াও দুইজন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়।
যদিও বলা হচ্ছে পুলিশ ও আইনজীবীদের সংঘর্ষে আহত হন ২০ জন পুলিশকর্মী। আইনজীবীদের তরফ থেকেও জানানো হয় তাঁদের ৪০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও আইনজীবীদের একটি ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তারপরেই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন দিল্লি পুলিশরা।