বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজিএস) বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় শ্রুতি লেখক দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ দাসের রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে আগামীকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় বিজিএস পরীক্ষায় তিনি শ্রুতি লেখকের সুবিধা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর সুদীপ দাসকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অন্ধ হলে বিচারক হওয়াও যেন বন্ধ। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে বিচারক নিয়োগ বিধিতে রয়েছে এমনটা। যাতে নেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কাউকে শ্রুতি লেখক দেওয়ার নিয়ম। ফলে পরপর দুই বছর পরীক্ষায় বসলেও খালি খাতা ফেরত দেন হতভাগ্য সুদীপ। জীবনযুদ্ধে এতটা পথ পাড়ি দিয়েও এখন হতাশ এই যুবক। যদিও ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করছেন অন্ধ বিচারকেরা। সুদীপ দাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতকের ছাত্র ছিলেন।’
এরপর গত ৬ নভেম্বর দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিজিএস পরীক্ষায় শ্রুতি লেখক দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ দাস রিট দায়ের করেছিলেন।