ঝালকাঠি সদর থানার এক সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাসকে সমন দেওয়া সত্ত্বেও সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ২৫০ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান বুধবার (৬ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
টিপু লাল দাস বর্তমানে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান বলেন, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর বিকেলে ঝালকাঠি সদর থানার পোনাবালিয়া উপজেলার ভাওতিতা গ্রামে নাসিমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মারা যান। তাঁর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন ঝালকাঠি সদর থানার তৎকালীন এসআই টিপু লাল দাস। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর নাসিমার ভাই মো. আলম হোসেন বাদী হয়ে স্বামী রফিক মল্লিক ও দেবর সুলতান মল্লিককে আসামি করে ঝালকাঠি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যা মামলাটি ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে বিচারাধীন।
এ মামলায় উপপরিদর্শক টিপু লাল দাস লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করায় আদালতের বিচারক একাধিকবার সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হতে সমন প্রদান করেন। আদালতের বিচারক গত ১৬ অক্টোবর এসআই টিপু লাল দাসকে আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মামলার ধার্য তারিখে উপপরিদর্শক টিপু লাল দাস আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
এ বিষয়ে এসআই টিপু লাল দাস বলেন, ‘আমি গত বছরের ২৬ মার্চ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা থেকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় বদলি হয়ে আসি। এ মামলার সমনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অন্য মামলায় সাক্ষী দিতে আমি ঝালকাঠি আদালতে একাধিকবার গিয়েছি।’