স্ত্রীকে হত্যার মামলার অ্যাডভোকেট আমির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) যশোর শহরের দড়াটানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তাসমীম আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২ নভেম্বর গৃহবধূ সোনিয়া খুন হন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম তার জামাতা আমির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই বছর প্রথম রোজায় যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের অ্যাডভোকেট আমির হোসেনের সঙ্গে লেবুতলা মধ্যপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের স্বজনরা জানতে পারেন, জামাই লম্পট প্রকৃতির।
নিহতের চাচা গালিব হোসেনের অভিযোগ, ‘ঘটনার দিন আমির হোসেন তার বসতবাড়ির দ্বিতীয়তলায় একজন নারীর সঙ্গে কিছু করছিল। সোনিয়া তা দেখে ফেলে। এ নিয়ে গণ্ডগোলের একপর্যায়ে সোনিয়াকে মারধর এবং শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে ওড়না দিয়ে মরদেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে আমির হোসেন।’
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেফতার আমির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদশেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে অ্যাডভোকেট আমির হোসেনের বিরুদ্ধে বিবাহিত স্ত্রীকে অস্বীকার, আরেকজনকে বিয়ের প্রলোভনে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, স্ত্রী হত্যা মামলাসহ নারী নির্যাতন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি।
গত ৫ নভেম্বর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু মোর্ত্তজা স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।