খাদ্যে ভেজালকারীদের ধরতে হটলাইন চালু করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। এখন থেকে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও মজুত দেখলেই ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তা।
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে একটি হটলাইন চালু করা রয়েছে। ৩৩৩ নম্বরে যে কেউ ফোন দিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে। পাশাপাশি হটলাইনের কল সেন্টার থেকে মোবাইলের ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া ৭ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই হটলাইনে সাধারণ মানুষ ফোন করে ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে অভিযোগও করতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য যাচাই-বাছাই করে যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
সারওয়ার জাহান জানান, সরকারের এটুআই প্রকল্পের আওতায় হটলাইনটি চালু করলেও আগামীতে কর্তৃপক্ষের নিজের অধীনে আনা হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় হটলাইনটি নিজস্ব কল সেন্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
বিএফএসএর সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তারা জানান, খাদ্যে ভেজাল, উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিপণন, ভোগ-সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার বিষয়ে ৩৩৩ হটলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। দায়ের করা অভিযোগটি সরাসরি নিরাপদ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হবে। এরপর কর্মকর্তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
দেশের নাগরিকের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ‘নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩’ অনুমোদন করে সরকার।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান এবং নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হয় এবং ২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। আইনের আলোকে উৎকৃষ্ট উপায়ে খাবার সব সময় এবং সবার জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষায় ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পৌঁছানো এ কর্তৃপক্ষের অন্যতম দায়িত্ব, যা উৎপাদন থেকে শুরু খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সরকারি এ সংস্থাটি।