গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি নিয়ে আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও শেখ ফজলে নূর তাপস। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
এদিন টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শর্তসাপেক্ষে দিতে রাজি হয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। এরপর এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য আগমী ১৮ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে, এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগে আবেদন করে।
১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেছিলেন, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে, গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে। একই সঙ্গে, ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।
১৭ অক্টোবর আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান তানিম হোসেইন শাওন।