বিচারিক (নিম্ন) আদালতের ৬৫০ বিচারকের পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। তবে, দুজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় পদোন্নতি (স্ট্যান্ডওভার) রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ কর্নারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অধস্তন (নিম্ন) আদালতের ৬৫২ বিচারকের পদোন্নতির প্যানেল তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এই প্যানেল চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করা হয়। ফুলকোর্ট সভায় এবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ৩৫৬ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ২১৮ জন এবং সহকারী জজ থেকে সিনিয়র সহকারী জজ পদে ৭৮ জনের পদোন্নতি ফাইল প্যানেল আকারে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এই কর্মকর্তাদের সবাই বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম ব্যাচে নিয়োগ পেয়েছেন।
বিধি অনুসারে, ফুলকোর্ট সভায় পদোন্নতি প্যানেল অনুমোদন হওয়ায় এখন তা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ দুই কার্যালয়ের অনুমোদনের পর এসব বিচারকের পদোন্নতিসহ পদায়নের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, ফুলকোর্ট সভায় পদোন্নতি প্যানেল অনুমোদনের জন্য গত বছরের বিভিন্ন সময় আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্যানেল তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়। বিধি অনুসারে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএ) কমিটি গত ১৭ অক্টোবর পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে বিচারক বাছাইয়ের কাজ শেষ করে। কমিটির অপর তিন সদস্য হলেন-হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান, বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার।
বিচার বিভাগে বর্তমানে এক হাজার ৭৯০টি বিচারকের অনুমোদিত পদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বিধি অনুসারে, ফুলকোর্ট সভা হয়ে থাকে। সভায় উপস্থিত বিচারপতিরা উচ্চ ও অধস্তন আদালতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।