অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) করা মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে কারাগার থেকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুদক। অপরদিকে, তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-ঢাকা-১ এ সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাত থেকেই তার গ্রেফতার হওয়ার খবর এলেও পরদিন সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া র্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদী র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।
গত ৭ অক্টোবর রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৫ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। ২৪ অক্টোবর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।