ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী কতজন শিশু মুক্তি পেয়েছে ও তাদের কার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের কজন জামিনে মুক্তি পেয়েছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আসা ১২১ শিশুর বাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অন্য কোনো শিশু আছে কি না, থাকলে তাদের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানাতে বলেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। ওই দিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে গত ৩১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি ওই দিনই আদালতের নজরে আনেন চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল হালিম। শুনানি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে গাজীপুরের টঙ্গী ও যশোরের পুলেরহাটের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। টঙ্গী ও যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের বেশি বয়সী থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।