বিভিন্ন হত্যার ঘটনায় মরদেহের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ কপি ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নির্দেশ বলা হয়েছে।
একটি হত্যা মামলায় আসামির জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সব সিভিল সার্জনকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে আরিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজীর দেওয়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবীরা। পাশাপাশি মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণির একছাত্রকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবীরা জানান, সাইফুলের সঙ্গে একই শ্রেণির আরেক ছাত্রের কথা কাটাকাটির জের ধরে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় ওই ছাত্রসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সাইফুল মারা যায়। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়।
এ মামলায় কারাবন্দি ওই ছাত্র কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করে। ওই আদালত গত ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। এই জামিন আবেদনের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের মরদেহের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির সময় ওই ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসার পর হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।