সারা দেশের জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সমূহে এক মাসের বার্ষিক অবকাশ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবকাশকালীন সময়ে এসব আদালতে বিচারাধীন মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালতসমূহ এই ছুটির বাইরে থাকবে।
এদিকে অবকাশকালীন সময়ে জরুরী দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য ৫৭ জন অবকাশকালীন বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ পযমর্যাদার ৫৭ বিচারকে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়ানী আদালতের অবকাশকালীন সময়ে (জেলা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ জজ আদালত, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, পরিবেশ আপিল আদালত, সাইবার ট্রাইব্যুনাল, এবং সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালসহ) জরুরী দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।
অবকাশকালীন বিচারকদের নামের তালিকা ও বিস্তারিত জানতে প্রজ্ঞাপন দেখুন
এই ৫৭ বিচারককে অবকাশকালীন সময়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৫ ধারাধীন পুনর্বিবেচনার আবেদন ব্যতীত সকল ফৌজদারি দরখাস্ত ও মামলা গ্রহণ এবং নিষ্পত্তি করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৩ (২) ধারাধীন ক্ষমতা প্রদান এবং আসন্ন অবকাশে তাদের নামের পাশে বর্ণিত জেলা সমূহের সদর দপ্তরে আসন গ্রহণ করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৯(৪) ধারার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও এসব বিচারককে অবকাশকালীন দেওয়ানী কার্যবিধি ১৮৮৭ (act no XII of 1887) এর ধারা ১৪ ও ৩৬ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধিক্ষেত্র জেলা সদরে আসন গ্রহণ করে জরুরী দেওয়ানী মামলা গ্রহণ ও উদ্ভূত জরুরী বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা এবং শিশু আইন, ২০১৩ এর আওয়তায় গঠিত শিশু আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
পাশপাশি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও সার্কিট ডিউটিতে কর্মরত বিচারকসহ ঢাকার ১০টি বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ জজদের এবং সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা ব্যতীত জেলা জজশিপে কর্মরত অপরাপর বিচারকদের দেওয়ানী আদালত অবকাশকালীন ছুটিভোগসহ কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই ডিসেম্বরে দেশের নিম্ন আদালতের এক মাসের অবকাশকালীন ছুটি থাকে।