থানার পরিবর্তে যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা বা এফআইআর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দাখিল ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম।
গত ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এবং ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়াল রিট আবেদনটি করেন।
দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে গত ২০ জুন গেজেট জারি করে। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১(২) (ঘঘ) (ছ), ৪, ৯ (ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও দুদক সচিবকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনকারী সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের সংশোধিত বিধিমালার ওই বিধি সংবিধানের ৩১, ৬৫ (১) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থি। আর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিমালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ বা সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারছে না।
এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।