ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি এসএন শুক্ল-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে প্রসাদ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (পিআইএমএস) নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তির পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি শুক্ল। এই প্রথম দেশটির কর্মরত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর হল।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে লখনউয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পিআইএমএকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নিজের বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশই পরিবর্তন করেন বিচারপতি শুক্ল। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯
শিক্ষাবর্ষের জন্য ওই কলেজে পড়ুয়া ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। বিচারপতি শুক্লের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র প্যানেল গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্তে বিচারপতি শুক্লের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। তবে রাজি হননি তিনি।
চার মাস আগে সিবিআইকে বিচারপতি শুক্লর বিরুদ্ধে মামলায় সায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার পরেই গত ৪ ডিসেম্বর শুক্লের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্তকারী সংস্থাটি। শুক্ল ছাড়াও সিবিআই চার্জশিটে নাম রয়েছে আইএম কুদ্দুসি নামে ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টের প্রাক্তন এক বিচারপতির।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি শুক্লের রায় অনুমোদন না করায় বিচারপতি কুদ্দুসির মাধ্যমে বিচারপতি শুক্লকে দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করে আর এক অভিযুক্ত ভগবান প্রসাদ যাদব।