সচিবালয়

সচিবালয় এলাকায় হর্ন বাজালে জেল-জরিমানা

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ের আশপাশে ঘোষিত ‘নীরব এলাকা’য় যানবাহনের হর্ন বাজালে সরকারের প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশের এলাকা নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হবে। জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় ও সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নীরব এলাকায় জোরে শব্দ বা গাড়িতে হর্ন বাজানো নিষেধ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার ( ৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত করণীয় নির্ধারণী সভায় এসব কথা জানানো হয়। সচিবালয়ের চারপাশে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫–এর আওতায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ রয়েছে। ওই বিধিমালার ধারা ৮(২) এ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে হর্ন বাজালে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ওই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথম অপরাধের জন্য কমপক্ষে এক মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। পরবর্তী অপরাধের জন্য কমপক্ষে ছয় মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিধিমালা অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

সভায় জানানো হয়, অপ্রয়োজনীয়ভাবে হর্ন বাজানোসহ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় আইনটি কার্যকর করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, সব শ্রেণির জনগণ, বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় বিলবোর্ড, ব্যানার স্থাপন, লিফলেট বিলি এবং মাইকিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।