নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একমাত্র সাজা নির্ধারণসংক্রান্ত তিনটি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শিশির মনির রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শিশির মনির জানান, আইনের দুটি ধারা একমাত্র সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন এবং অপর একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। একমাত্র সাজা যখন নির্ধারণ করা হয়, তখন তা বিচারিক এখতিয়ারকে খর্ব করে। এ ছাড়া ক্ষমতা পৃথক্করণের নীতিরও পরিপন্থী। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত এ রুল দেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতম দমন আইনের ৯(১), ৯(৪) (ক), ১১ (ক) ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী রিটটি করেন।