রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলা বদলির আদেশ দেন। নিয়মানুযায়ী মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমানের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আবদুল হালিম।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাত থেকেই তার গ্রেফতার হওয়ার খবর এলেও পরদিন সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। একই দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অন্যদিকে, আরমানকে গ্রেফতার করার সময় তাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার পকেটে ১৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে মাদক সেবনের দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
র্যাব-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করেন। মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়।