কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করতে কেন কমিশন গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়কে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর ধান, গম, পিয়াজ, রসুনসহ সব কৃষিপণ্য ও পোলট্রি ফিড থেকে উৎপাদিত মুরগি, ডিম ও ডেইরি দুধের ন্যায্যমূল্য ঠিক করার জন্য একটি স্বাধীন ন্যায্যমূল্য কমিশন গঠন চেয়ে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
কৃষি, অর্থ, আইন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কমিশন গঠনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
পরে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কৃষকরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করে ফসল ফলান। এরপরও তারা কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের ফসল কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু আমরা ঠিকই বেশি দামে এসব পণ্য কিনে খাচ্ছি। তাই কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।