ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এ নোটিশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এ আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সংক্ষিপ্ত এক শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি শারদ অরভিন্দ ববদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আইনের প্রয়োগ স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি এ আইনটি স্থগিত রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে প্রায় ৬৯টি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কিত এ আইনটির বিরোধিতা করে আরও অনেকের মতো দেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল আসাম গণ পরিষদ (এজিপি)।
ভারতের প্রধান বিচারপতি শারদ অরভিন্দ ববদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ পিটিশন গ্রহণ করে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পিটিশনকারীরা বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কখনোই নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। এ আইনের মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধান পরিপন্থি। এ আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, এ আইনটি ‘সংবিধানের মূল কাঠামোকে আঘাত করে’।
তবে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, দেশ জুড়ে বিক্ষোভেও পিছু হটবে না নরেন্দ্র মোদী সরকার।